সংবাদ শিরোনামঃ
শ্যামনগরে ভ্যান ইজিবাইক চালকদের সচেতনতায় ভ্রাম্যমাণ ক্যাম্পেইন  শ্যামনগরে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ফেমিনিস্ট ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত শ্যামনগরের ছদ্দবেশী বোরকা পরিহিত এক পুরুষ আটক শ্যামনগরে নৌকার প্রার্থী দোলনকে গণসংবর্ধনা জামায়াত অধ্যুষিত সংসদীয় আসনে শক্ত অবস্থান জগলুল হায়দারের শিশুশ্রম সংক্রান্ত আইন ও নীতিমালার যথাযথ বাস্তবায়ন ও করনীয় বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত এমপি জগলুল হায়দারের নির্দেশনায় শ্যামনগরে হরতাল বিরোধী মিছিল ও শান্তি সমাবেশ সাতক্ষীরায় উত্তরণ এর আয়োজনে SIDA2GROW প্রকল্পের তৃণমূল পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে উত্তরণ এর আয়োজনে SIDA2GROW প্রকল্পের তৃণমূল পর্যায়ের সভা উত্তরণ এর আয়োজনে SIDA2GROW প্রকল্পের তৃণমূল পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত
খালেদা জিয়ার ভাগ্য নির্ধারণ আগামীকাল বৃহস্পতিবার

খালেদা জিয়ার ভাগ্য নির্ধারণ আগামীকাল বৃহস্পতিবার

আদালতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্য নির্ধারণ হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন আবেদনের ওপর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে।

এ নিয়ে হঠাৎ করেই খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রসঙ্গটি ফের আলোচনায় আসে। নিম্ন আদালতের রায় পরিবর্তন হয়ে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন কিনা এমন বিষয়টি সচেতন মহল ও রাজনীতি পাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচনা হচ্ছে।

রাজনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তির বছরে হরতাল-অবরোধ, জ্বালাও-পোড়াওয়ের মাধ্যমে দেশে কোনো ধরনের অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি হোক সরকার তা কোনোভাবেই চাইবে না। খালেদা জিয়া যদি তখন পর্যন্ত কারাগারে থাকেন তাহলে দেশে অতীত স্টাইলে অরাজকতা হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।

তাই আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী নির্ভরযোগ্য সূত্রের ভাষ্য, চলতি বছরেই হয়তো আদালতের নির্দেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পেতে পারেন। খালেদা জিয়ার মুক্তিতে বিএনপির যেমন নরম সুর রয়েছে, তেমনি সরকারেরও শৃঙ্খলা রক্ষায় শেষ সময়ে ছাড় দেয়ার মানসিকতা থাকবে।

এ নিয়ে বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইতোমধ্যে লন্ডন থেকে তারেক জিয়া তিনটি বিষয় নিয়ে নেতাকর্মীদের রাস্তায় থাকতে নির্দেশনা দিয়েছেন।

এর মধ্যে রয়েছে খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রসঙ্গ, সরকারের পদত্যাগ দাবি, পুনরায় নির্বাচন। চলতি বছরের মধ্যে খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে সর্বদলীয় আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনের নির্দেশনা আসবে বলেও দাবি করা হচ্ছে। যদিও এখনো খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য তিনটি পথ খোলা রয়েছে।

প্রথমত, প্যারোল উল্লেখ করে আবেদন। দ্বিতীয়ত, সরকারি নির্বাহী আদেশ এবং তৃতীয়ত, রাজনৈতিক পদক্ষেপ। তবে খালেদা জিয়া আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বাভাবিক জামিন ছাড়া অন্য কিছুতে রাজি নন।

খালেদা জিয়ার পরিবার সূত্রের দাবি, সরকারের কাছে মাথানত করে তিনি কোনো শর্তে জামিন নেবেন না। তবে দলের বড় একটি অংশ খালেদা জিয়ার অসুস্থতায় জীবনাশঙ্কা থেকে যেকোনোভাবেই মুক্তিতে রাজি হয়েছেন। তারেক জিয়াও খালেদা জিয়ার পরামর্শে এখনো আদালতের ওপর আস্থা রাখতে চাচ্ছেন।

তবে দলটির নির্ভরযোগ্য সূত্রের ভাষ্য, খালেদা জিয়ার মুক্তিতে এবার সরকারকে কঠিনভাবে নাড়া দেয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে। রাজনৈতিক কঠিন পদক্ষেপে যাওয়ার আগে প্রকাশ্য ও পর্দার আড়ালে ক্ষমতাসীন দলকে বার্তা দেবে দলটি। হরতাল-অবরোধের মতো দেশ অচলের কর্মসূচিতে যাওয়ার আগেই সরকারের নির্বাহী আদেশে হলেও যেন মুক্তি পান খালেদা জিয়া। সরকারের কাছে বিএনপির হাইকমান্ড এমনই আবেদন-আবদার রাখছেন। যদিও বিএনপি আর সরকারের ওপর আস্থা রাখছে না।

গত সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘোষণা দেন— এখন থেকে তারা আর সভা-সমাবেশ করতে পুলিশের অনুমতি নেবে না। যখন ইচ্ছা তারা কর্মসূচি পালন করবেন। ওই সমাবেশে তিনি গণঅভ্যুত্থান ও আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনেরও ঘোষণা দেন।

সরকারকে এমন হুঙ্কারের ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই হঠাৎ করেই গতকাল দলটি রাজধানীতে শক্তি প্রদর্শন করে। কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে হাইকোর্টের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এসময় পুলিশের সঙ্গে কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বেশ কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টার সড়ক অবরোধে থমকে যায় পুরো রাজধানী।

দলটির বিশ্বস্ত সূত্র দৈনিক কন্ঠ কে  নিশ্চিত করেছে, আগামীকাল খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে সরকারকে বার্তা দেয়ার জন্যই উপর থেকে ভাইয়ের নির্দেশে হঠাৎ তারা রাস্তায় নামেন। যাতে তাদের এই অবস্থান ও বার্তা সরকার বিবেচনায় নিতে পারেন। আগামীকাল রায়কে কেন্দ্র করে হাইকোর্ট চত্বরের আশপাশে আরও বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত থাকবেন। নেতাকর্মীরা আগামীকাল রাজপথে বড় শক্তি প্রদর্শন করবেন। আদালতের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে রাজপথেই এর ফয়সালা হবে বলে এমন হুঁশিয়ারি দেয়ার প্রস্তুতি রাখছে দলটি।

উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি হবে আগামীকাল। এর আগে সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ দিনক্ষণ ঠিক করেন।

আপিল বিভাগ বলেছেন, বৃহস্পতিবার সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ জামিন আবেদনের ওপর শুনানি গ্রহণ করবেন।

এ বিষয়ে বিএনপির জিএম সিরাজ বলেন, খালেদা জিয়া রাজনৈতিক বন্দি। তার জামিনের জন্য রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দরকার। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া তার মুক্তি হবে না।

সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার কাছে সবিনয়ে অনুরোধ, খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। খালেদা জিয়াকে জামিনের ব্যবস্থা করে দিন। এ নিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক এবং খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, আমরা আশা করছি এবার খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: আপনি নিউজ কপি করার চেষ্টা করছেন। অনুগ্রহ করে এডমিনের সাথে যোগাযোগ করুন। Power By- Sundarban IT Limited